ফেরা

তাহের টিপু: রশিদ মিয়া বাড়ি পৌঁছল চারদিক উথালপাথাল করা বৃষ্টির মধ্যে। সাথে প্রচণ্ড বাতাস। ছোট-বড় গাছপালা বাতাসের তাণ্ডবে অস্থির। প্রবল বর্ষণের তোড়ে চারদিক ঝাপসা। বেলা পড়ার আগেই চারদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার। রিকশা বাড়ির উঠানে ঢুকে একেবারে দরজার সামনে এসে থামল। রশিদ মিয়া ভাড়া মিটিয়ে এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেল।

 

রাশেদা আর রুনি বসে লুডু খেলছে। চোখ তুলে অবাক হয় গেল। রশিদ মিয়ার এই সময় আসাটা অযাচিত। বাড়াবাড়ি রকমের উচ্ছাস প্রকাশ কারোর স্বভাবে নেই, তাই অভ্যর্থনাটা হলো সাদামাটাই। রাশেদা উঠে ভেতরের ঘরে চলে গেল। গা মোছার জন্য গামছা আনতে হবে। রুনি ভাইয়ার সাথে গল্প করতে লাগলো।

রশিদ মিয়ার বাড়িটা গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে। সবচেয়ে কাছের দরজি পাড়াও হাঁটা পথে পনেরো মিনিট। রাশেদা আর রুনি একাই থাকে। রশিদ মিয়া ঢাকায় চাকরি করে। পিজি হাসপাতালের লিফটম্যান। মাসে-দুইমাসে একবার বাড়ি আসে।

 

রাতে রুনি রশিদ মিয়ার সাথে খেতে বসল। রাশেদা খাবার বেড়ে দিচ্ছিল। রুনির কথাই শেষ হয় না ভাইয়ের সাথে। ঢাকার প্রতি তার অনেক আগ্রহ। ওখানের ধনী লোকেরা কীভাবে থাকে, কী করে না করে সব খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করতে থাকে।

 

খাওয়ার পর রশিদ মিয়ার বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ে। রাশেদাকে বলল, গিয়ে মাছের অবস্থা দেখে আসি।

 

বৃষ্টি থেমেছে অনেকক্ষণ। মেঘলা আকাশে অর্ধপূর্ণ চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি খেলা। রশিদ মিয়া একটা নেভি ধরায়।
হাঁটতে হাঁটতে পুকুর ঘাটে চলে আসে। এবার মাছ চাষে অনেকগুলো টাকা খরচ হয় গেছে। রশিদ মিয়ার আশা অনেক লাভ করতে পারবে। টাকার খুব দরকার। রুনির পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া দরকার। রাশেদাকেও ডাক্তার দেখাতে হবে। বিয়ের দশ বছর হয়ে গেছে, এখনো সন্তানের মুখ দেখেনি তারা।

টাকা নিয়ে টানাটানি রশিদের বাল্যকাল থেকেই। স্কুলজীবনে খুব ভালো ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও পড়ালেখা শেষ করতে পারল না। মেট্রিক পরীক্ষার আগে আগে বাবা মারা গেলেন। পরীক্ষার ফি জোগাড় করার জন্য সবার কাছে হাত পেতেছে, কেউ সাহায্য করেনি। মেট্রিকটা দেওয়া হলো না। পেটে দু’মুঠো ভাত জোটাতে তাকে ঢাকায় পাড়ি জমাতে হলো, একটা চাকরির জন্য। এখানে-ওখানে ধাক্কা খেয়ে, টুকটাক চাকরি করে কোনো রকমে দিন পার করেছে। রুনির বয়স যখন পাঁচ; তখন মা-ও মারা যান। এ সময় রশিদ মিয়া সমস্যায় পড়ে। বোনকে একা গ্রামের বাড়িতে রাখা সম্ভব নয়। রমিজ চাচা বুদ্ধি দেন বিয়ে করার। রাশেদা গরিব ঘরের মেয়ে। ঘটকালিটাও রমিজ চাচাই করেন। আনুষ্ঠানিকতাহীন বিয়ে হয়ে যায়।

 

পুকুর ঘাটে মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য একটা মাচার মত বানানো হয়েছে। ওর উপর বসে রশিদ মিয়া সিগারেট টানতে থাকে। অতীত নিয়ে হা-হুতাশ করার অভ্যাস রশিদ মিয়ার নেই। সে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এবার বৃষ্টিটা একটু বেশি হচ্ছে। এতে মাছ চাষে সমস্যার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না রশিদ মিয়ার জানা নেই।

 

বেশ রাত করে রশিদ মিয়া ঘরে ফেরে। দরজা দিয়ে ঢুকতেই রাশেদার উপর চোখ পড়ে। বিছানায় বসে ওর দিকে চেয়ে আছে। হারিকেনের লাল আলোয় চোখে কিসের যেন একটা ছায়া। এক অদ্ভুত একটা দৃষ্টি! রশিদ মিয়ার ক্লান্তি বোধ হয়। জিজ্ঞেস করে, রুনি ঘুমিয়েছে?
হ্যাঁ।
খেয়েছে?
হ্যাঁ।
ওর ব্যথা এখন কেমন?
আগের চেয়ে ঘন ঘন হয়। ওকে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানো দরকার!
হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।
বলে রশিদ মিয়া পানি পান করে বিছানায় শুয়ে পড়ে। রাশেদা ক্লান্ত স্বামীর চুলে বিলি কেটে দিতে থাকে।
হঠাৎ চলে আসলেন?
রমিজ চাচা ফোন করছিলেন। তার বাবার সাথে জমি নিয়ে কী যেন সমস্যা হইছে। আমাকে বললেন বুঝাইতে!
উনারা আপনাকে এত মানে কেন?
উনার বাবা আমার স্যার ছিলেন। খুব পছন্দ করতেন। আমাকে বলতেন, একদিন আমি অনেক বড় ডাক্তার হব!
রশিদ মিয়ার একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
কাল যাবো স্যারের সাথে কথা বলতে। দুপুরের পরই ঢাকা ফিরতে হবে।
মাত্র আজই আসলেন! এত তাড়াতাড়ি?
ছুটি পাই নাই। ইদ্রিসকে বলছি আমার শিফটটা একটু দেখতে।
রশিদ মিয়াকে খুব ক্লান্ত মনে হয়।

২.
পরদিন সারাটা সকাল ব্যয় হলো রমিজ চাচার সমস্যা মিটমাট করতে। রিটায়ারের পর থেকে স্যারের ছেলেমানুষী দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে বাচ্চাদের মতো জেদ ধরে বসে থাকেন। স্যার কোনো কথাই শুনবেন না। সব ঠিকঠাক হতে হতে দুপুর গড়িয়ে গেল।

তিনটার দিকে রশিদ মিয়া বাসায় ফিরল। খাবারের টেবিলে আজ রাশেদা বসেছে স্বামীর সাথে। রুনির ব্যথা উঠেছে, তাই শুয়ে আছে। রাশেদা বলল, আজ না গেলে হয় না? এমনিতেই তো বেলা শেষ হয় এলো!
নাহ্, আজই ফিরতে হবে। সাড়ে চারটার বাস ধরতে পারলে রাতের শিফট জয়েন করব। নইলে মুশকিল হয় যাবে!

সব গোছগাছ করতে করতে সাড়ে চারটা বেজে গেল। রশিদ মিয়া ব্যাগ নিয়ে দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলো। রাশেদা দরজায় দাঁড়িয়ে। রশিদ মিয়া বলল, যাই!
রাশেদা নীরবে মাথা কাত করে বিদায় জানায়। রশিদ মিয়া রাশেদার দিকে চেয়ে থাকে।
রাশেদার চোখে রাতের সেই অদ্ভুত ছায়াটা।
রশিদ মিয়া ক্লান্তস্বরে বলে ওঠে, আচ্ছা থাক, কালই যাবো। খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি!

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

» এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে : মির্জা ফখরুল

» স্বৈরাচার হাসিনা পালালেও তার লেজ রয়ে গেছে : তারেক রহমান

» বিচার যেন বিগত দিনের মতো না হয় : জয়নুল আবদিন ফারুক

» ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ

» অভিষেক ছাড়তে চেয়েছিলেন অভিনয়, ফেরালেন কে?

» রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলেন সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুল

» ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» ‌আমরা কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে দেব না : হাসনাত আব্দুল্লাহ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফেরা

তাহের টিপু: রশিদ মিয়া বাড়ি পৌঁছল চারদিক উথালপাথাল করা বৃষ্টির মধ্যে। সাথে প্রচণ্ড বাতাস। ছোট-বড় গাছপালা বাতাসের তাণ্ডবে অস্থির। প্রবল বর্ষণের তোড়ে চারদিক ঝাপসা। বেলা পড়ার আগেই চারদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার। রিকশা বাড়ির উঠানে ঢুকে একেবারে দরজার সামনে এসে থামল। রশিদ মিয়া ভাড়া মিটিয়ে এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেল।

 

রাশেদা আর রুনি বসে লুডু খেলছে। চোখ তুলে অবাক হয় গেল। রশিদ মিয়ার এই সময় আসাটা অযাচিত। বাড়াবাড়ি রকমের উচ্ছাস প্রকাশ কারোর স্বভাবে নেই, তাই অভ্যর্থনাটা হলো সাদামাটাই। রাশেদা উঠে ভেতরের ঘরে চলে গেল। গা মোছার জন্য গামছা আনতে হবে। রুনি ভাইয়ার সাথে গল্প করতে লাগলো।

রশিদ মিয়ার বাড়িটা গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে। সবচেয়ে কাছের দরজি পাড়াও হাঁটা পথে পনেরো মিনিট। রাশেদা আর রুনি একাই থাকে। রশিদ মিয়া ঢাকায় চাকরি করে। পিজি হাসপাতালের লিফটম্যান। মাসে-দুইমাসে একবার বাড়ি আসে।

 

রাতে রুনি রশিদ মিয়ার সাথে খেতে বসল। রাশেদা খাবার বেড়ে দিচ্ছিল। রুনির কথাই শেষ হয় না ভাইয়ের সাথে। ঢাকার প্রতি তার অনেক আগ্রহ। ওখানের ধনী লোকেরা কীভাবে থাকে, কী করে না করে সব খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করতে থাকে।

 

খাওয়ার পর রশিদ মিয়ার বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ে। রাশেদাকে বলল, গিয়ে মাছের অবস্থা দেখে আসি।

 

বৃষ্টি থেমেছে অনেকক্ষণ। মেঘলা আকাশে অর্ধপূর্ণ চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি খেলা। রশিদ মিয়া একটা নেভি ধরায়।
হাঁটতে হাঁটতে পুকুর ঘাটে চলে আসে। এবার মাছ চাষে অনেকগুলো টাকা খরচ হয় গেছে। রশিদ মিয়ার আশা অনেক লাভ করতে পারবে। টাকার খুব দরকার। রুনির পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া দরকার। রাশেদাকেও ডাক্তার দেখাতে হবে। বিয়ের দশ বছর হয়ে গেছে, এখনো সন্তানের মুখ দেখেনি তারা।

টাকা নিয়ে টানাটানি রশিদের বাল্যকাল থেকেই। স্কুলজীবনে খুব ভালো ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও পড়ালেখা শেষ করতে পারল না। মেট্রিক পরীক্ষার আগে আগে বাবা মারা গেলেন। পরীক্ষার ফি জোগাড় করার জন্য সবার কাছে হাত পেতেছে, কেউ সাহায্য করেনি। মেট্রিকটা দেওয়া হলো না। পেটে দু’মুঠো ভাত জোটাতে তাকে ঢাকায় পাড়ি জমাতে হলো, একটা চাকরির জন্য। এখানে-ওখানে ধাক্কা খেয়ে, টুকটাক চাকরি করে কোনো রকমে দিন পার করেছে। রুনির বয়স যখন পাঁচ; তখন মা-ও মারা যান। এ সময় রশিদ মিয়া সমস্যায় পড়ে। বোনকে একা গ্রামের বাড়িতে রাখা সম্ভব নয়। রমিজ চাচা বুদ্ধি দেন বিয়ে করার। রাশেদা গরিব ঘরের মেয়ে। ঘটকালিটাও রমিজ চাচাই করেন। আনুষ্ঠানিকতাহীন বিয়ে হয়ে যায়।

 

পুকুর ঘাটে মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য একটা মাচার মত বানানো হয়েছে। ওর উপর বসে রশিদ মিয়া সিগারেট টানতে থাকে। অতীত নিয়ে হা-হুতাশ করার অভ্যাস রশিদ মিয়ার নেই। সে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এবার বৃষ্টিটা একটু বেশি হচ্ছে। এতে মাছ চাষে সমস্যার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না রশিদ মিয়ার জানা নেই।

 

বেশ রাত করে রশিদ মিয়া ঘরে ফেরে। দরজা দিয়ে ঢুকতেই রাশেদার উপর চোখ পড়ে। বিছানায় বসে ওর দিকে চেয়ে আছে। হারিকেনের লাল আলোয় চোখে কিসের যেন একটা ছায়া। এক অদ্ভুত একটা দৃষ্টি! রশিদ মিয়ার ক্লান্তি বোধ হয়। জিজ্ঞেস করে, রুনি ঘুমিয়েছে?
হ্যাঁ।
খেয়েছে?
হ্যাঁ।
ওর ব্যথা এখন কেমন?
আগের চেয়ে ঘন ঘন হয়। ওকে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানো দরকার!
হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।
বলে রশিদ মিয়া পানি পান করে বিছানায় শুয়ে পড়ে। রাশেদা ক্লান্ত স্বামীর চুলে বিলি কেটে দিতে থাকে।
হঠাৎ চলে আসলেন?
রমিজ চাচা ফোন করছিলেন। তার বাবার সাথে জমি নিয়ে কী যেন সমস্যা হইছে। আমাকে বললেন বুঝাইতে!
উনারা আপনাকে এত মানে কেন?
উনার বাবা আমার স্যার ছিলেন। খুব পছন্দ করতেন। আমাকে বলতেন, একদিন আমি অনেক বড় ডাক্তার হব!
রশিদ মিয়ার একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
কাল যাবো স্যারের সাথে কথা বলতে। দুপুরের পরই ঢাকা ফিরতে হবে।
মাত্র আজই আসলেন! এত তাড়াতাড়ি?
ছুটি পাই নাই। ইদ্রিসকে বলছি আমার শিফটটা একটু দেখতে।
রশিদ মিয়াকে খুব ক্লান্ত মনে হয়।

২.
পরদিন সারাটা সকাল ব্যয় হলো রমিজ চাচার সমস্যা মিটমাট করতে। রিটায়ারের পর থেকে স্যারের ছেলেমানুষী দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে বাচ্চাদের মতো জেদ ধরে বসে থাকেন। স্যার কোনো কথাই শুনবেন না। সব ঠিকঠাক হতে হতে দুপুর গড়িয়ে গেল।

তিনটার দিকে রশিদ মিয়া বাসায় ফিরল। খাবারের টেবিলে আজ রাশেদা বসেছে স্বামীর সাথে। রুনির ব্যথা উঠেছে, তাই শুয়ে আছে। রাশেদা বলল, আজ না গেলে হয় না? এমনিতেই তো বেলা শেষ হয় এলো!
নাহ্, আজই ফিরতে হবে। সাড়ে চারটার বাস ধরতে পারলে রাতের শিফট জয়েন করব। নইলে মুশকিল হয় যাবে!

সব গোছগাছ করতে করতে সাড়ে চারটা বেজে গেল। রশিদ মিয়া ব্যাগ নিয়ে দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলো। রাশেদা দরজায় দাঁড়িয়ে। রশিদ মিয়া বলল, যাই!
রাশেদা নীরবে মাথা কাত করে বিদায় জানায়। রশিদ মিয়া রাশেদার দিকে চেয়ে থাকে।
রাশেদার চোখে রাতের সেই অদ্ভুত ছায়াটা।
রশিদ মিয়া ক্লান্তস্বরে বলে ওঠে, আচ্ছা থাক, কালই যাবো। খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি!

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com